মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত ভৈরব সেতুর মাঝামাঝি তিনটি পাত ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ ও অধিকাংশ লাইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়ে গেছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। ৪৬ লাইটের মধ্যে জ্বলে মাত্র ১৩টা উপজেলার শিল্পবন্দর নওয়াপাড়া দেশের অন্যতম বড় একটি মোকাম। এ বন্দর দিয়ে সার, কয়লা, পাথর,বিটুমিন, গম, ভুট্টা,বালি, খৈল, ভূষিসহ অন্যান্য সামগ্রি আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে। এই বন্দরের সাথে দেশ-বিদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়মিত ব্যবসায়িক যোগসূত্র রয়েছে। কার্গো, বার্জ, ছোট-বড় জাহাজে এই বন্দরে বিভিন্ন মালামাল আসে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের নানা প্রান্তে এখানকার মালামাল সরবরাহ করা হয়। ব্যবসা সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য সরকার ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর উপর সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু আড়াই বছর না পার হতেই সেতুর পাতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং সেতুর উপরে পাত গুলো সব ভেঙ্গে গেছে, কতৃপক্ষের কেউ দেখেনা। অন্যদিকে সেতুর উপরে লাইট গুলো অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় সময় রাতে দুর্ঘটনা ও চুরি বেড়েই চলেছে। সেতুর পাতাগুলো ফাটল ধরায় যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা। অন্যদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, সেতুর পাতে ফাটল ও ভেঙ্গে যাওয়ায় যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং সেতুতে অধিকাংশ লাইট না জ্বলার কারণে বাড়ছে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ। উপজেলার দেয়াপাড়া গ্রামের নজরু গাজী জানান, সেতুর পাত ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা খুবই আতংকিত যে কোনও সময় ঘটবে দুর্ঘটনা এবং সন্ধ্যার পর এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। লাইটগুলো প্রথমে কয়েক দিন জ্বলতো। বেশ কয়েকমাস যাওয়ার পর এখন তা আর জ্বলছে না। সেতু দিয়ে যাওয়া যায় না। অন্ধকার থাকে।রাতে গাড়ি চালানোর সময় চোখে লাইটের আলো লাগে।
ভৈরব সেতুর সংলগ্ন এক বাসিন্দা আবু জাফর বলেন, সেতুর পাত ভেঙ্গে যাওয়ায় গাড়ি যাতায়াতের সময় ভাঙ্গা পাতে টায়ারের বাড়ি লেগে বিকট শব্দ হচ্ছে যে কারণে পথচারীরা আতংকে আছে, এবং রাতে লাইট না জ্বলার কারণে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন পথচারিরা। সেতুর ফোরম্যান বলেন, এলাকায় কিছু চক্র আছে, তারা এই লাইটের তার কেটে নিয়ে চলে যায়। সেই তার পুনরায় না লাগানো পর্যন্ত লাইট জ্বলবে না। বিশেষ করে সেতুর পূর্বদিকের লাইটগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ থাকে। তিনি আরও বলেন, কয়েকবার চোরদের আটক করে থানায় অভিযোগ করেছি। তারপরও চুরি থামছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক জানান, লাইট গুলো প্রথমে কয়েক দিন জ্বলতো। বেশ কয়েকমাস যাওয়ার পর এখন তা আর জ্বলে না। কয়েক বার ক্যাবল চুরি হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাত ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি কতৃপক্ষকে জানানো হবে দ্রুত সময় পাত মেরামতের কাজ করা হবে।