বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
বাউবির এমবিএ (বাংলা মাধ্যম) পরীক্ষার ফল প্রকাশ শ্রীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পাঁচটি ইউনিটের সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায়  আগুন নিয়ন্ত্রণে মধুপুরের কুড়ালিয়া বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুর কার্যকরী কমিটি গঠিত রংপুর বিভাগে ৫৩ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল ভেড়ামারায় পদ্মায় নৌকা ডুবে ২ কৃষকের মৃত্যু  গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলম হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ তেলিহাটি ইউপির তিন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের বিএনপিতে যোগদান উপকূলীয় কয়রায় স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পে অবহিতকরণ সভা

কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে বাবুই পাখির বাসা 

রিপোর্টারের নাম / ৩২৩ টাইম ভিউ
আপডেট : শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩, ৬:৪২ অপরাহ্ণ

মোঃ মানছুর রহমান (জাহিদ)খুলনা প্রতিনিধি

 

গ্রাম বাংলার মাঠের ঐতিহ্য বাবুই পাখির বাসা। আর আজ কালের বিবর্তনে সেই বাবুই পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। তালের পাতায় নিপুণ কারুকার্য করে বাবুই পাখি তার অপরূপ সৌন্দর্যের বাসা তৈরি করে। এক সময় প্রকৃতি দাবিয়ে বেড়ানো এ পাখি গুলো আজ কালের বিবর্তনে বাংলার আবহমান চিরচেনা সবুজ প্রকৃতি থেকে একেবারেই বিলুপ্তির পথে। বাংলার এখানে ওখানে তাল গাছের পাতায় কত না মেধা শক্তি খাটিয়ে নিজেদের থাকার আবাসস্থল গড়তো বাবুই পাখি।

 

কবির ভাষায় , বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই।

 

হ্যাঁ আবহমান গ্রাম বাংলার বাসা তৈরির যে নিঁখুত কারিগর, কবির কালজয়ী ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতার নায়ক সেই বাবুই পাখি শিল্পের বড়াই করতেই পারে। তবে তাল গাছের স্বল্পতা আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে বাবুই পাখি আজ নিজেই অস্তিত্ব সংকটে আছে বলে মনে করেন অনেকেই। সকলের ধারণা একই, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে একেবারেই বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির চিরচেনা বাবুই পাখির বাসা। অথচ আজ থেকে প্রায় ১যুগ আগেও আমাদের গ্রামগঞ্জে তাল গাছে দেখা মিলতো বাবুই পাখির বাসা।

বর্তমানে দেখা যায়, আগের মতো এখন আর চোখেই পড়ে না বাবুই পাখি ও তার তৈরি দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট বাসা তৈরির নৈসর্গিক দৃশ্য। বাবুই পাখির নিখুঁত বুননে এ বাসা টেনে ছেঁড়াও কষ্টসাধ্য। প্রতি তালগাছে ১শ’ থেকে ১১০টি বাসা তৈরি করতে সময় লাগে ৮-১০ দিন। খড়, কুটা, তালপাতা, খেজুর পাতা, ঝাউ ও লতা-পাতা দিয়ে বাবুই পাখি উঁচু তালগাছে তাদের বাসা বাঁধে।

এ বাসা দেখতে যেমন আকর্ষণীয় লাগে, ঠিক তেমনি অনেক মজবুত। প্রবল ঝড়েও তাদের বাসা ছিড়ে নিচে পড়ে না,। পুরুষ বাবুই পাখি বাসা তৈরির কাজ শেষ হলে সঙ্গী খুঁজতে বের হয়। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সাথী বানানোর জন্য পুরুষ বাবুই নিজেকে আকর্ষণীয় করতে খাল, বিল ও ডোবার পানিতে গোসল করে গাছের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়। বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করতে বাসার ভিতর এক চিমটি গোবর রেখে জোনাকি পোকা ধরে এনে তার উপর বসিয়ে দেয় এবং সকাল হলে ছেড়ে দেয়। প্রজনন সময় ছাড়া বাবুই পাখির গায়ে ও পিঠে তামাটে কালো বর্ণের দাগ হয়। ঠোঁট পুরো মোসাকার ও লেজ চৌকা। তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রং হয় গাঢ় বাদামি। অন্য সময় বাবুই পাখির পিঠের পালকের মতই বাদামি হয়।

বাসস্থান সংকটের কারণে এ পাখি ধীরে ধীরে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বাবুইপাখির বাসস্থানের প্রধান দুটি গাছ হচ্ছে তালগাছ ও খেজুর গাছ। কিন্তু এখন তাল গাছ আর খেজুর গাছ নেই বললেই চলে। এজন্য পাখি গুলো চরম অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় পরিবেশ থেকে আজ বিলুপ্তির পথে এ বাবুইপাখি।

উল্লেখ্য: শুধু বাবুই পাখিই না, জাতীয় পাখি দোয়েল, চড়ুই, শালিক, চিল, কাক, কোকিল প্রভৃতি সকল পাখিই আজ অস্তিত্ব সংকটে আছে, এখনোই যদি এ সব পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেয়া যায়, হয়তো অদুর ভবিষ্যতে এসব পাখি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর