বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
বাংলাদেশে স্টারলিংকের নেক্সট জেনারেশন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আনতে পার্টনারশিপ করলো গ্রামীণফোন ও বিএসসিএল  গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুন,নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে কয়রায় মানববন্ধন   কয়রায় অন্তুর্ভূক্তিমূলক দূর্যোগ ঝুঁকি নিরসন কর্মপরিকল্পনা যাচাই সভা বাউবির এমবিএ (বাংলা মাধ্যম) পরীক্ষার ফল প্রকাশ শ্রীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পাঁচটি ইউনিটের সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায়  আগুন নিয়ন্ত্রণে মধুপুরের কুড়ালিয়া বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুর কার্যকরী কমিটি গঠিত রংপুর বিভাগে ৫৩ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল ভেড়ামারায় পদ্মায় নৌকা ডুবে ২ কৃষকের মৃত্যু 

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জে বিনিরাইল মাছের মেলা বা জামাই মেলা নামেই পরিচিত

রিপোর্টারের নাম / ২৯৬ টাইম ভিউ
আপডেট : রবিবার, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ৩:২৩ অপরাহ্ণ

 

মোঃ আলমগীর মোল্লা স্টাফ রিপোর্টার ‌।

 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়ার বিনিরাইল এলাকায় প্রতি বছর বসে ‘জামাই মেলা।’ আড়াইশো বছরের পুরানো এই মেলা থেকে আশপাশের গ্রামের জামাইরা সবচেয়ে বড় মাছ কিনে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। এ কারণে মেলার সময় আশপাশের কয়েকশ গ্রামেও বিরাজ করে উৎসবের আমেজ। মূলত এটা জামাই মেলা হলেও সবাই এটাকে মাছের মেলাই বলে।

পৌষ মাসের শেষ দিনে বসে এই মেলা তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ জানুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলার জামালপুর, জাঙ্গালীয়া ও বক্তারপুর ইউনিয়নের ত্রি-মোহনায় বিনিরাইল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিরাট এলাকাজুড়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ সাজিয়ে বসেছেন মাছ বিক্রেতারা। দেশের বিভিন্ন জায়গার মাছ বিক্রেতারা এখানে মাছ বিক্রির জন্য ছুটে আসেন। তারা নানা অঙ্গভঙ্গি করে সুর ধরে ডেকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। কেউ কেউ বড় আকৃতির মাছ উপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের ডাকছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়, কে কতো বেশি ওজনের বা বড় মাছ মেলায় আনতে পারেন। অন্যদিকে স্থানীয় জামাই-শ্বশুরদের মধ্যেও হয় সেই বড় মাছ কেনার নিরব প্রতিযোগিতা।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন তো এসেছেনই। এর বাইরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে অনেকে এসেছেন উপজেলার সর্ববৃহৎ এই মাছের মেলায়। গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ থেকে অনেক মানুষ কেবল এই মেলা উপলক্ষেই কালীগঞ্জে এসেছেন। প্রতি বছর অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা। তখন আয়োজন করা হয় নবান্ন উৎসবেরও। এবারের মেলায় প্রায় ৫ শতাধিক মাছ ব্যবসায়ী বাহারি মাছ নিয়ে এসেছেন। মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি, বস্ত্র, হস্ত ও কুটির শিল্পের নানা পণ্যেরও আমদানি হয়। মাছের মেলায় সামুদ্রিক চিতল, বাঘা আইর, আইড়, বোয়াল, কালী বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রূপচাঁদা, বড় মাছ ১৮থেকে ২৫ কেজি হয়ে থাকে মাছের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে নানা রকমের দেশি মাছও।

বিনিরাইলের মাছের মেলার আয়োজক কমিটি জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। এ মেলা কালীগঞ্জের সবচেয়ে বড় মাছের মেলা হিসেবে স্বীকৃত।

আরও জানান, শুরুতে মেলাটি অনুষ্ঠিত হতো ক্ষুদ্র পরিসরে। এটি অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। এটি এক সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মেলার হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আয়োজন করে আসা মেলার বয়স আড়াইশ বছর ছাড়িয়েছে। তাই বেড়েছে মেলার পরিধিও। এখানে শুধু মাছ নয়, এ মেলাকে কেন্দ্র করে বস্ত্র, হস্ত, চারু- কারু, প্রসাধনী, ফার্নিচার, খেলনা, তৈজসপত্র, মিষ্টি ও কুটির শিল্পের নানা পণ্য।

জামালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার জানান, বৃটিশ শাসনামল থেকে শুরু হওয়া বিনিরাইলের মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যের ধারক- বাহক। তাই মেলায় বেচাকেনা যতই হউক, এ মেলা ঐতিহ্য আর কৃষ্টি- কালচারকে বহন করছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। তাই কোনো প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর