বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
বাউবির এমবিএ (বাংলা মাধ্যম) পরীক্ষার ফল প্রকাশ শ্রীপুরে ঝুট গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পাঁচটি ইউনিটের সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায়  আগুন নিয়ন্ত্রণে মধুপুরের কুড়ালিয়া বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুর কার্যকরী কমিটি গঠিত রংপুর বিভাগে ৫৩ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল ভেড়ামারায় পদ্মায় নৌকা ডুবে ২ কৃষকের মৃত্যু  গোবিন্দগঞ্জে নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ গাজীপুরের নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলম হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণ তেলিহাটি ইউপির তিন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের বিএনপিতে যোগদান উপকূলীয় কয়রায় স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রকল্পে অবহিতকরণ সভা

তিস্তা বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারি আতংকে তিস্তা পাড়ের মানুষ

রিপোর্টারের নাম / ৩৫৮ টাইম ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৫, ২০২৩, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর প্রতিনিধি:

 

ভারতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার শংঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং শুরু করেছে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্য রাত থেকে দেশের উজানে গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ২৮৫ সেন্টিমিটার এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকাল থেকে ৮২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। পাউবো’র দুপুর ১২টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার, কাউনিয়া পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বুধবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিপদসীমা অতিক্রম করার পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি হলে আমার ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যেহেতু ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে, তাই আমার ইউনিয়নের মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে মাইকিং শুরু হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন, বন্যায় যেন মানুষের জানমালের রক্ষা হয় সেলক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করছে। বন্যা স্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং বন্যায় শেষে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্নবাসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারতের সিকিম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের শংঙ্কা রয়েছে। এতে করে তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হবে। বিপদসীমা অতিক্রমের সর্বোচ্চ রেকর্ড ৫২ দশমিক ৮৪ মিটারের কাছাকাছি ডালিয়া পয়েন্টে পানি পৌঁছাতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব তথ্য প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর