স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নিজের মেয়ের নামে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও বিত্তহীন মামলা থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন খাতুনে জান্নাত, গতকাল রোজ শুক্রবার টঙ্গীর বউ বাজার এলাকার ডঃ আলী আকবরের বাড়ি পাশে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিতভাবে খাতুনে জান্নাত জানান, দীর্ঘ কয়েকটি বছর যাবত প্রতিহিংসা, পরায়ণ হয়ে, বিভিন্ন রুষানলে , তার মেয়ের নামে একের পর এক মিথ্যা বানোয়াট ও বিত্তহীন মামলা করে যাচ্ছে একটি চক্র,। সংবাদ সম্মেলন এ তিনি বলেন তার মেয়ে সাংবাদিক শামীমা খানমকে মিথ্যা বানোয়াট ,অসত্য ,ভিত্তিহীন মামলায় আসামি না হয়েও ২৩ দিন জেল খেটেছে সাংবাদিক শামীমা খানম এই দায়ভার নিবে কে।
এছাড়াও তার মেয়ের নামে আরও চারটি মামলা মিথ্যা মামলা চলমান আছে, এছাড়াও তিনি বলেন ২৩ দিন জেল খেটে এসে বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জানতে পারেন, গত ১৬ ই আগষ্ট ২০২১ ইং তারিখে বাদী সুরুজ পিতা মঙ্গল মিয়া,
একটি মামলা দায়ের করেন ৩৪ ধারায় সেখানে আসামি উল্লেখ করা হয়শামীমা খানম বেবি ও তার স্বামী হিরণ কে, চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে আদালতে সুরুজ মামলা রজু করেন।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে, এই মামলা ছাড়াও একই এলাকায় আরো চারজন বাদী সাজিয়ে আরো চারটি মামলা করেন টুটুল সরকার , তার আপন মামাতো ভাই ইব্রাহিম উকিল। বাদিগণ হলেন, জলিল মিয়া, পিতা হামিদ খান, জরিনা খাতুন পিতা আজিজ বেপারী, সাফিয়া পিতা আকরাম আলী আকন্দ, আক্কাস মিয়া পিতা ওহিদ মিয়া, এই মামলা গুলি মেট্রোপলিটন ৩ আদালতের করা হয় যা একই দিনে একই আদালতে চারটি মামলা রুজু হয়। ওই মামলার টঙ্গি পূর্ব থানার এস আই ফরহাদের কাছেই পাঁচটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এখানে উল্লেখ করা যাচ্ছে যে এক বছর সুরুজের মামলা সমন গোপন করে মামলা চালিয়ে যান জিএম ইব্রাহিম উকিল। পাঁচটি মামলার একটি মামলার প্রাপ্তি রশিদ সমন আমার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীর কাছে আসেনি এবং এই রশিদ আদালতের কাছেও নেই। কেননা মেয়ে ও মেয়ের স্বামী উক্ত মামলার আসামি নয়। তারপরও সুরুজ এর মামলায় , শামীমাকে ২৩ দিন আসামি না হয়েও কাস্টুরি থাকার পর জিএম ইব্রাহিম উকিল ও টুটুল, সরকার গং আমাকে ভয় ভীতি দেখায় যে আমার মেয়ে সারা জীবনেও জেল থেকে বের হতে পারবেনা।
এই মামলা ছাড়াও অনেকগুলো মামলা আছে। মেয়েকে বাঁচাতে হলে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে আমাদের। পরবর্তীতে মেয়ের কথা চিন্তা করে তাদের দাবিকৃত ৩০০০০ টাকা দেই জিএম ইব্রাহিম উকিল ও টুটুল ,গংদের কাছে। বর্তমানে আমার মেয়েকে জিএম ইব্রাহিম উকিল বিভিন্ন জায়গায় এবং আদালত প্রাঙ্গণে সরাসরি মোবাইল নাম্বারে থেকে হুমকি প্রদান করে আসছে তোমার বিরুদ্ধে বাকি মামলার ওয়ারেন্ট করে তোমাকে আবারো জেলে পাঠাবো। যদি বাঁচতে চাও টুটুল সরকার এর কাছে গিয়ে মাফ চাও, তাদের বাড়িতে যাও ,বাড়িতে না পেলে উত্তরার বাসায় যাও। তারা যদি বলে আমাকে মামলা খালাস করে দিতে আমি দুই দিনের মধ্যে সকল মামলা থেকে খালাস করে দেব।
এই জিএম ইব্রাহিম উকিলের রোশানলে আমার মেয়ে শামীমা খানম। তারা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ভিত্তিহীন পাঁচটা মামলা সাজিয়ে ওই মামলাগুলো আমার মেয়ে ও আমার মেয়ের জামাইকে ফাঁসিয়ে আবারো জেল খাটানোর পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে, বর্তমানে উল্লেখিত মামলাগুলোর বিষয় প্রশাসন ও প্রশাসকদের কাছে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি যে, এজাহান নামীয় আসামি আমার মেয়ে ও আমার মেয়ের স্বামী নয়। তবুও আমার মেয়ে শামীমা হাজত খেটেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট দাবি জানাচ্ছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বাদী সুরুজ, জলিল, আক্কাস, সাফিয়া ও জরিনা সহ জিএম ইব্রাহিম উকিলদের মদদদাতাদের আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।