রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কাপাসিয়ায় সালাউদ্দীন আইউবীর নেতৃত্বে দাঁড়িপাল্লার মিছিল ও সমাবেশ রংপুর-৩ আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ান এর সাথে রিটা রহমান এর মতবিনিময় শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মানে গড়ে তুলতে ইংরেজি ভাষা চর্চা অপরিহার্য- ডুয়েট উপাচার্য শিক্ষার আধুনিকায়নে সিলেবাসের কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় -ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যের বার্তা নিয়ে ভেসপাবস-এর ফ্যামিলি নাইট ও ডিনার অভ্যর্থনা ভেড়ামারায় ডায়াবেটিক দিবস পালিত  কালীগঞ্জে যুবদলের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতর রাজারহাটের চাকিরপশার ইউপি’তে মাদক,দাদন ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন সুজনের রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন

মোংলায় ঘেরে লবণ পানি ঢুকানোতে ধান নষ্ট, প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ দাবীতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম / ১৯৩ টাইম ভিউ
আপডেট : বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৬, ২০২৩, ৭:২৩ অপরাহ্ণ

মোংলা প্রতিনিধি

 

মোংলায় বিস্তীর্ন ধান ক্ষেতে লবণ পানি ঢুকানোতে শতশত বিঘা জমির ধান পুড়ে ও পঁচে নষ্ট হচ্ছে। ধান চাষের জন্য ১৫ বৈশাখ পর্যন্ত চিংড়ি ঘের মালিকদেরকে ঘেরে লবণ পানি তুলতে নিষেধ করেন স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘের মালিকেরা রাতে আধারে চিংড়ি চাষের জন্য লবণ পানি ঢুকানোতে মাঠের ধানে পচন ধরেছে এবং লবণে পুড়ে যাচ্ছে। লবণ পানি ঢুকিয়ে ধানের ক্ষতি করায় এর প্রতিবাদ, প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণ দাবীতে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ধান চাষীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া ও বালুরমোড় এলাকার ধান চাষীরা এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় চাষীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবেনা, তার ওই কথার গুরুত্বে আমরা গত ডিসেম্বরে ধানের চাষাবাদ শুরু করি। ধান চাষাবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন জানালে তিনি ধান লাগাতে এবং জমি/ঘেরে লবণ পানি না ঢুকাতে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিভিন্ন মাইংকি করিয়ে দেন। তাতে ১৫ বৈশাখ পর্যন্ত নদী, খাল, ব্রিজ, কালভার্ট থেকে লবণ পানি ঢুকানো যাবেনা বলে নিষেধাজ্ঞা থাকে। ফলে ধান চাষাবাদে ফলনও ভাল হয়, কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে ঘের মালিকেরা লবণ পানি ঢুকানোতো আমাদের শত শত বিঘা জমির হাজার হাজার মণ ধান নষ্ট হওয়ায় আমরা বিরাট ক্ষতিতে পড়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে এর প্রতিকার, বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

আর এমনই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জমির ধান ও চিংড়ি চাষীদের মধ্যে।

গত বছর যেখানে ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিলো, এ বছর সেখানে ২০০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় লবণাক্তায় আক্রান্ত হয়েছে মাঠের বোরো ধান। তবে আগেভাগে ডিসেম্বর না করে নভেম্বরে বীজ বপন করে চাষাবাদ করলে লবণের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এখানকার কৃষকদের। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (সহকারী কমিশনার ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, লবণ পানি ঢুকানো ও ধানের ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর