মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুরের মালাউড়ি গ্রামে স্বামীর বাড়ীতে ৮ দিন অবস্হান করেও ঘরে ডুকতে পারলেন না স্রী নাহিদা আক্তার সাথী। জানা যায় মধুপুরের মালাউড়ী গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাশেদুল নাহিদা আক্তার সাথী (৩৪)কে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই নানা রকম প্রতারণা করে আসছে। ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কুষ্টিয়ার চোড়হাঁস গ্রামের মৃত নাসির উদ্দিনের মেয়ে নাহিদা আক্তার সাথীর সাথে ২০১৪ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাহিদা জানান, বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময় রাশেদুল তার কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে কুষ্টিয়া নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকার কাবিন মূলে উভয়ের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই রাশেদুল নাহিদাকে বাড়িতে আনার ব্যাপারে তালবাহানা শুরু করে। সব শেষে বিগত নয় মাস পূর্বে রাশেদুল নাহিদাকে বিয়ের কথা গোপন করে তার চাচাতো বোনকে পুনরায় বিয়ে করে। উক্ত ঘটনা জানার পর স্রী নাহিদা আক্তার সাথী ১ এপ্রিল শনিবার সকালে রাশেদুল এর বাড়িতে চলে আসে। খবর পেয়ে রাশেদুল এবং তার বাড়ির লোকজন বাড়িতে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাশেদুল দীর্ঘদিন যাবত বিয়ের নামে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছে। ইতিপূর্বেও সে বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের নামে এ ধরনের প্রতারণা করেছে বলেও এলাকার লোকজন জানান। মধুপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাশেদুল ইতিপূর্বেও বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের নামে এ ধরনের প্রতারণা করেছে বলে তার জানা আছে। নাহিদা আক্তার সাথী শনিবার সারাদিন রাশেদুল এর বাড়িতে অবস্থান করে কোন সুরাহা না পাওয়ায় ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাইলে থানা পুলিশ ঘটনার স্থলে এসে নাহিদা আক্তার সাথীর কাছে ঘটনার বিবরণ শুনেন। পরবর্তীতে কমিশনার হুমায়ুন কবির সময় চাইলে রবিবার দুপুর পর্যন্ত তাকে তাকে সময় দিয়ে সাথীকে তার জিম্মায় রেখে চলে যান। সেসময় থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবীরের বাসায় অবস্হান করছে নাহিদা আক্তার সাথী।