মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
হারাগাছ মেট্রো পুলিশের অভিযানে জুয়ার সরঞ্জামসহ গ্ৰেফতার ৫  ভেড়ামারায় পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কালীগঞ্জে বিএনপির পথসভা ও বর্ণাঢ্য মিছিল অনুষ্ঠিত ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার রায়ে আবু সাঈদের পরিবার সন্তুষ্ট মোংলায় কোডেক’র শিশুদের অংশগ্রহণ বিষয়ক সমন্বয় সভা কালিয়াকৈরে পৃথক স্থানে ককটেল ও পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণ  সৌদিতে বাস–ট্যাঙ্কার সংঘর্ষ, ৪২  ওমরাহযাত্রী নিহত বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের ৫৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রফিকুল ইসলাম রাতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ উল্লাস শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে গাজীপুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

হুজুরের লক্ষ টাকার চুক্তি ও ছোট বাচ্চাদের সারাদিনের ভোগান্তি

রিপোর্টারের নাম / ১২১ টাইম ভিউ
আপডেট : বুধবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

আলমগীর হোসন  :

 

গত কয়েকদিন আগে বাসের সিটে বসে ছিলাম।হঠাৎ ফুটফুটে একটা ১০/১২ বছরের বাচ্চা এসে আমার হাতে ওয়াজের একটি হ্যান্ডবিল ধরিয়ে দিলো। বাচ্চাটা আকুতি ভরা কণ্ঠে বললো। আংকেল ১০টা টেহা দিন মাহফিল হইবো। পোষ্টারের বড়বড় বক্তাদের নাম দেখে চোখ যেন আমার ঝলমল করছিলো। কারন তাদের সম্পর্কে কম বেশি আমার জানা আছে তারা কেমন বাজেটের বক্তা।

 

বাচ্চাটিকে জিজ্ঞাসা করলাম। তোমার আব্বা কী করেন? উত্তর দিলো, “আমার আব্বু মালয়শিয়াতে থাকেন।” বুঝলাম ছেলেটি ভদ্র পরিবারের। বললাম, তোমাকে এখানে কালেশনে কে পাঠিয়েছে? “বললো আমাদের মাদ্রাসা থেকে।” কত পেয়েছো সব মিলিয়ে? বললো, “সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ টাকা।”

বাচ্চাটির হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে বললাম। যাও বাবা সোজা মাদ্রাসায় চলে যাও। অনেক কালেকশন করেছো। যাবার সময় বাচ্চা তিনটাকে চল্লিশটা টাকা দিয়ে বললাম, আইসক্রিম খেতে খেতে যাবে।

 

লজ্জায় বাস ভর্তি মানুষের সামনে আমার মাথা নত হয়ে যাচ্ছিল।

কথিত এসব মোহতামিম আর মাদ্রাসার কমিটিকে, কে বলেছে মাহফিল করতে? কে বলেছে ওয়াজের নামে এসব বাচ্চাদেরকে ভিক্ষাবৃত্তি শিখাতে?

 

কন্ঠাবাজ, কন্ট্রাকবাজ, গলাবাজ, শিশুবক্তা, অযোগ্য, এলেমহীন, সুরেলা বক্তাদের দিয়ে মাহফিল জমিয়ে বক্তাদের হাতে লক্ষ টাকার খাম ধরিয়ে নিজেকে ইসলামের সৈনিক মনে করে!

 

অনেক কিছু বলার ছিল, পড়তেও হয়তো আপনাদের বিরক্ত লাগবে তাই এইটুকই শেষ করলাম।

বন্ধ হোক এসব ভিক্ষাবৃত্তি।

বন্ধ হোক এসব অনৈতিকতা।

 

ওয়াজ-মাহফিল ও মাদ্রাসা-মক্তব পরিচালনার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের দিয়ে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ব্যস্ত সড়কের পাশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্থ সংগ্রহ কিংবা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১০/১২ কিলোমিটার হাঁটিয়ে অর্ধ পেটে কখনও বা খালি পেটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাউল সংগ্রহ করতে পাঠানো বন্ধ হোক।

এই অপরাধের জন্য আয়োজকদের শিশুশ্রম বা শিশু নির্যাতন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।

আর, এই পুণ্য কাজের দায়িত্বটা যেনো আয়োজকেরাই পালন করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর