মোঃ নাসির উদ্দিন গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), গাজীপুরের সাধারণ শ্রমিক মোঃ মাসুদ রানা-কে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি এক প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে আমার সামাজিক ও ব্যক্তিগত মানহানি করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আমার স্বাক্ষরিত সোনালী ব্যাংক, বারি শাখা, গাজীপুরের একাউন্ট নং ০২০১৪৩৪০৪৭৩৫২-এর চেক নং ৬৮৭৬৮১২ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রায় এক মাস আগে উক্ত চেকটি হারিয়ে গেলে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৮৮৫, জিটি ট্র্যাকিং নং GUX4SK) করেন। পরবর্তীতে আসাদ নামে এক ব্যক্তি তার হারানো চেকটি নিয়ে এসে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেন এবং ২৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম বিএসসি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় চেকটি উদ্ধার করেন। পরে আসাদ ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, সে ভুল করেছে এবং চেকটি কুড়িয়ে পেয়েছিল।
মোঃ মাসুদ রানা বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি অসাধু চক্র পরিকল্পিতভাবে আমাকে সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। এর আগে তারা ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালিয়েছে। যেসব পত্রিকার নাম তারা ব্যবহার করেছে, যাচাই করে দেখা গেছে তারা কোনো অনুমোদিত প্রতিনিধি নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি একজন সাধারণ শ্রমিক। আমার কারো চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমি কখনো কাউকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ সম্পূর্ণ জাল, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।”
মোঃ মাসুদ রানা জানান, ভবিষ্যতের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি থানায় জিডি করেছেন এবং ইতিমধ্যে সিআইডির উচ্চপর্যায়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শেষে তিনি প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সাধারণ জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান— এসব মিথ্যা ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য যাচাই করে প্রতারণামূলক চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে।