নজমুল হক স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবার মানোন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনের কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসএনভি নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল আরবান ওয়াটার সাইকেল (এসইউডব্লিউসি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সভাটির আয়োজন করা হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে নগর এলাকায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবাকে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও টেকসই করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।মতবিনিময় সভায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ, সেবার মানোন্নয়নের কৌশল, নাগরিক স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস এবং আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন জিসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, মোঃ সোহেল রানা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সোহেল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সচিব মোঃ সানিউল কাদের এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও মানব সম্পদ), তানিয়া তাবাসসুম,এস এনবির তানভীর চৌধুরী। আলোচনায় গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সংগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রেজাউল বারী বাবুল। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার মোঃ রহমত উল্লাহ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জিসিসি, সুমনা শারমিন নগর পরিকল্পনাবি, মোঃ জাকির হোসেন, রাজস্ব কর্মকর্তা , মোঃ আরিফুর রহমান সহকারী প্রধান বর্জ্যব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, আরেফিন বাদল উপ-পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর, মোঃ আব্দুস সালাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গাজীপুর, আমিনুল ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক সরকারি মহিলা কলেজ গাজীপুর, রবিউল ইসলাম বাঁধন, সহকারি মহাপরিদর্শক কলকারখানা অধিদপ্তর গাজীপুর, দৈনিক ভোরের আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ শাহজাহান খানসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তা বৃন্দু উপস্থিত ছিলেন।সভা থেকে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা জোরদার, নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবার গুণগত মান উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।