মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
শ্রীপুরে চকপাড়া সমাজ কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস উদযাপন  ডুয়েটে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত  কয়রায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন  বগুড়ার শেরপুরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী কুদু ভূইয়ার ইন্তকাল ভেড়ামারায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত গাকৃবিতে বর্ণিল আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত মহান বিজয় দিবসে শহীদের প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের শ্রদ্ধা নিবেদন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত  সাভার স্মৃতিসৌধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন

রোকেয়া দিবসে অদম্য নারী সম্মাননা পেলো লাকসামের শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা প্রতিনিধি / ২৩ টাইম ভিউ
আপডেট : বুধবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ১:৩৫ অপরাহ্ণ

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা প্রতিনিধি

 

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর পালিত হয় রোকেয়া দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার লাকসাম উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত ‘আমিই রোকেয়া’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয় অদম্য নারী সম্মাননা। এবারের আসরে ‘সফল জননী’ ক্যাটাগরিতে সম্মানিত হয়েছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর আক্তার।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নার্গিস সুলতানা তার হাতে সম্মাননা তুলে দেন। দীর্ঘ ৩২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে দায়িত্বশীলতা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কোহিনূর আক্তার। ব্যক্তিজীবনে তিনি চার সন্তানের জননী—যাদের তিনজনই চিকিৎসক এবং একজন সফল ব্যবসায়ী।

তার বড় মেয়ে ডাঃ কামরুন নাহার সুলতানা বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার তিনি ঢাকায় কর্মরত আছেন। দ্বিতীয় মেয়ে আয়েশা খাইরুন নাহান সদ্য এমবিবিএস শেষ করেছেন এবং ছোট মেয়ে সাবিকুন নাহার মেডিকেলে এমবিবিএস-এ অধ্যয়নরত। একমাত্র ছেলে কামরুল হাসান চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

সম্মাননা পাওয়ার পর আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় কোহিনূর আক্তার বলেন,“আমার বিয়ে হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর সন্তান জন্মের পর আবার পড়াশোনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিই। এসএসসি, এইচএসসি থেকে বিএ পর্যন্ত শেষ করি। ১৯৯৩ সালে শিক্ষকতা শুরু করি। সেই সময় নারীদের বাইরে এসে কাজ করার সুযোগ খুবই কম ছিল। কিন্তু আমি থেমে থাকিনি।”নিজের সফলতার পেছনে স্বামী এ,বি,এম কলিম উল্লাহর সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,“আমার স্বামী সারাজীবন আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। আমার সন্তানদের সাফল্যই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। যারা আমার পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।”

অনুষ্ঠানে কোহিনূর আক্তার ছাড়াও আরও চারজন নারীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও নার্গিস সুলতানা বলেন,“আপনাদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত নয়, এই উপজেলার নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। এই পথচলা অব্যাহত রাখুন।”

রোকেয়া দিবসের আলোচনায় বক্তারা নারী শিক্ষার প্রসার, নারী নেতৃত্ব ও পরিবার-সমাজে নারীর অবদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর