শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে জাসাসের উদ্যোগে মানববন্ধন সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে এখনই নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ -আব্দুস সালাম পিন্টু গাইবান্ধায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট সমাজসেবক নাসির পালোয়ান হত্যা মামলায় আসামি রাব্বি গ্রেফতার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সক্রিয় হওয়া অপরিহার্য- ডুয়েট উপাচার্য টঙ্গীতে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ বক্সের ক্ষতি আহত ২,পুলিশ সদস্য  তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  সাপাহারে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ শুরু মোংলায়, গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে উপজেলা বিএনপির শোক র‍্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া রংপুরের ভাস্কর্য ‘অর্জন’ থেকে শেখ মুজিবের ছবি মুছে দিয়েছে জুলাই যোদ্ধারা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মা ও শিশুপুত্রকে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার 

রিপোর্টারের নাম / ২৯৭ টাইম ভিউ
আপডেট : শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ১২:৩৬ অপরাহ্ণ

মোঃ আব্দুল বাতেন বাচ্চু :

 

গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের ব্যর্থ হয়ে মা ও শিশু পুত্রকে হত্যা করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আসামি দালালের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন।

 

গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম মো. রহমত উল্লাহ (২৯)। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার কুশদী গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

 

 

শ্রীপুর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতে রুবিনা আক্তার (২২) নামে এক নারীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন প্রতিবেশী রহমত। তখন রুবিনার সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় রুবিনার শিশুপুত্র জিহাদ (৬) চিৎকার শুরু করলে রহমত তাকে গলা চেপে হত্যা করেন। একপর্যায়ে সে রুবিনাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মা ও ছেলেকে হত্যার পর রহমত ঘরে তালা মেরে লাশ দুটি রেখে পালিয়ে যান। রহমত এ সময় রুবিনার মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান। এরপর গত ৭ জানুয়ারি পুলিশ গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত রুবিনা আক্তার শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখণ্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকার সিরাজ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সন্দেহজনকভাবে নিহতের স্বামী ঝুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

 

আজমীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহমত জানিয়েছেন, গত ২৩ জানুয়ারি রহমত সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছান। সেখানে একটি পানীয় প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ নেন।

 

অভিযান পরিচালনার বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলা থেকে নিহতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রহমতের অবস্থান ও খুনের বিষয়ে জানা যায়। এরপর স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের দালালেরা বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় রহমতকে পৌঁছে দেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছেন রহমত।

 

পুলিশ জানায়, স্বামী ঝুমন মিয়ার সঙ্গে রুবিনার ঝগড়া হওয়ায় সেদিন ঘরে ছিলেন না ঝুমন। এখন তাঁকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হবে।

 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি রহমত উল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে একজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর