গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে মারধরের দুইমাস পর যুবকের মৃত্যুর পর, মরদেহ দাফন না করে বিচার দাবিতে অপেক্ষা করছে স্বজনরা।
০৯ জানুয়ারী সোমবার উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের মোড়লপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সকাল দশঘটিকার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত যুবক আবুল হোসেন (৩৫) উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের মোড়লপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্তি কাজ করতো।
নিহতের ছোটভাই রুবেল মিয়া জানান, গত দুইমাস পূর্বে বাড়ি থেকে অদূরে ভান্ডারী মোড় এলাকায় প্রতিবেশী আকবর আলীর ছেলে উসমান মিয়া আমার ভাইকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। মারধরের কারণে তার কোমড়ের তিনটি হাড় ভেঙে যায়। খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার গয়েশপুর বাজারে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক সপ্তাহ পর ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। অর্থের অভাবে আমরা ভাইয়ের সঠিক চিকিৎসা করতে পারিনি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আজিজুল হক বলেন, এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নোটিশ করা হয়েছিলো। কিন্তু ওঁরা ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়নি। যাঁর কারণে বিষয়টি সমাধান হয়নি। তিনি আরও জানান, আজ সোমবার সকাল নয়টার দিকে ঐ যুবককের মৃত্যুর খবর শুনে সঙ্গে ঐ বাড়িতে ইউপি সদস্য আব্দুস ছামাদকে পাঠানো হয়েছে। ঐ হত্যার বিচার না পেলে মরদেহের দাফন করবে না বলে জানায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মারধরের ঘটনা যেহেতু অনেক আগের এজন্য আঘাতের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। উর্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।