আহমদ রেজা চট্রগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
আজ ১৯ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইংরেজি, ৫ ই ফাল্গুন ১৪২৯ বাংলা, রোজ রবিবার ওরশে পাক হযরত আব্দুল মালেক শাহ কুতুবীর (রহঃ) মাজার শরীফের ২৩ তম পবিত্র বাৎসরিক ওরশ মোবারক আজ
কুতুবদিয়া দ্বীপ উপকূলীয় লেসখালী ইউনিয়নের কুতুবদিয়া গ্রামের পেকুয়া উপজেলার হযরত আব্দুল মালেক শাহ কুতুবী (রহঃ) মাজার শরীফ অবস্থিত সেখানে প্রতি বছর ফাল্গুন মাসে পবিত্র বাৎসরিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবছর ও ১৯ ই ফেব্রুয়ারী, রবিবার অনুষ্ঠিত। হযরত আব্দুল মালেক শাহ (রহঃ) মাজার শরীফের ২৩ তম পবিত্র বাৎসরিক ওরশ মোবারক।
এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্ত আশেক মিলন মেলায় অংশ গ্রহন করেন।
তথ্যমতে জানা যায়, মূলত এই দিনে হযরত আব্দুল মালেক কুতুবী (রহঃ) ওফাত (পরলোকগমন) করেছিলেন।
উনার ওফাত উপলক্ষে শত শত ভক্ত ও মুরিদদের মিলন মেলা হয় মাজার শরীফের প্রাঙ্গনে। প্রতি বছর এই দিনে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জেলা থেকে মুরিদান ভক্তরা আসতে থাকেন। ভক্ত ও মুরিদানরা অনেকেই গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি পশু জবাই করে শিরনী আদায় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। বিশেষ করে কথায় আছে বিশ্বে গড়ায় বস্তু তর্কে বহুদুর। আনোয়ারা উপজেলা ধর্মপায়ী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মানব কল্যাণ কর ধর্মপ্রেমী মো মামুন,বাবলু সহ আরো এলাকার কমিটি লোকজন অংশ গ্রহন করেন। ইসলামের বিশ্বাসী নিজেদের উদ্যোগে আল্লাহ একাত্তবাদ ও দোয়ায় সামিলে চেষ্টায় নিজেদের অনুপ্রেরণার উত্তর বন্দর এলাকার আশেকর মসগুল মেহমান নিজ দায়িত্বে যানবাহনের মাধ্যমে ওরশে পাকে অংশ গ্রহনের ব্যবস্থা করান।
অনেকেই আবার (রওজা) মাজার শরীফ জিয়ারত, জিকির, মিলাদ শরীফ, শিরণী বিতরণ সহ বিভিন্ন ধরনের এবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকেন অলী- আউলিয়ার ফয়েজ লাভ করার জন্য।
মাজার কমিটি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর হযরত আব্দুল মালেক শাহ (রহঃ) মাজার শরীফের ওরশ উপলক্ষে কোরআন তেলাওয়াত থেকে শুরু করে দেশ বরেন্য উলামায়ে কেরামদের মাধ্যমে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা এবং অলী-আউলীয়াদের শান ও মান সম্পর্কে শিক্ষা দান এবং বিশ্বের সকল মুসলমানদের শান্তি কামনার জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন মাজার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ওরশ উপলক্ষে সাজানো হয়েছে পুরো মাজার প্রাঙ্গণ, নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
হযরত আব্দুল মালেক কুতুবী শাহ (রহঃ) মাজার শরীফের ওরশ উপলক্ষে ঐ তারিখে কিছু ভক্ত, আশেকান তাঁরা তাদের নিজ এলাকা থেকে এসে নিদিষ্ট ক্যাম্প করা আছে সেখানে বিশ্রাম সহ খাবার আয়োজন ব্যবস্থা করেন মাজার কমিটিরা। সুন্দর ভাবে পালিত হচ্ছে হুজুরের ওরশে পাক।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ভক্ত, মুরিদান, আশেকান, দর্শনার্থীরা আসা
ওরশে মোবারকে কাফেলা নিয়ে। তারা মাজার শরীফ জিয়ারত করে মিলাদ শরীফ আদায় করে এমনকি পশু জবাই করে শিরনী আদায় করেন। কিন্তুু দেখা যায় রাত ১০ টার পর থেকেই কয়েকটি কাফেলা আর কাফেলারা মিলে জিকির আসরে পরিনত হয়ে যায়। এর ফলে মাজার জিয়ারতে আসা লোকজন সহ এবাদত বন্দেগীতে মগ্ন থাকায় । তাদের জানমাল নিরাপাত্তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে করা নজরদারী রাকা হয়। মাজার শরীফের ওরশ শরীফ উপলক্ষে মাজার এলাকায় শিল্পী দিয়ে সাউন্ড বক্স দিয়ে গান বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় না।
এরই প্রেক্ষিতে এই মাজারে ও প্রশাসন গান বাজনার অনুমতি দেন না দু” তিন বছর ধরে। তাই কিছু গান পাগল ভক্ত, আশেকান তাঁরা এসে মাজার জিয়ারত ও মান্নতকৃত শিরনী আদায় করে চলে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এদিনেই তাঁরা ওরশ উপলক্ষে তাদের নিজ । তাদের জন্য দোয়ায় সামিল করেন।