মোঃ নাজমুল হাসান নাজির
উবর মাটি মানেই কৃষি জমির প্রাণ। বগুড়ার ধুনট উপজেলা ভান্ডরবাড়ী তিন নং ওয়ার্ড শিমুলবাড়ি দিনে রাতে অবাধে বিক্রি হয়ে জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে প্রশাসনের নজর এরিয়ে নয়, সড়কের কোন গুপ্তপথেও নয়। মাটিবাহী ট্রাক টোলি বীরদর্পে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পথে পথে। গুলো দেখেও যেন অদেখা। সম্প্রতি কয়েকটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা হলেও, কমেনি ফসলি জমির মাটিকাটার অবৈধ উৎসব।
ভুমি আইন অনুযায়ী উর্বর জমি থেকে মাটি কাটা কিম্বা গর্তকরা নিষিদ্ধ হলেও, ভূমি আইন অমান্য করেই চলছে রমরমা এই ব্যবসা। ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করাটা জরুরি মনে হলে ভূমি ও আবহাওয়া অফিসের ছাড়পত্র নেওয়ার বিধান থাকলেও, তার বালাই নেই। ক্রমশ বাড়ছে মাটি ব্যবসায়ী চক্রের দৌড়ত্য। পরিবেশ কে বিপর্যয়ে ফেলে এভাবেই হুমকির মুখে পড়ছে কৃষি জমি ও পরিবেশ। তাহলে কি আমরা খরা, বন্যা ভূমিকম্প সহ নানামুখী প্রাকৃতিক দূর্যোগের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি? ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী সহ ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড শিমুলবাড়ি, এমন কোন ইউনিয়ন নেই যেখানে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছেনা। বিশেষ করে ভাটা এলাকা গুলোতে এমন দৃশ্য বেশ লক্ষনীয়। স্থানীয় বেশ কিছু এলাকায় ব্লাক মানিতে লোকাল ম্যানেজ হয়ে মাটি কেটে ইট ভাটার পেটে ঢুকানো হচ্ছে। ব্যবসার সাথে সম্পৃক্তরা গ্রামীন চা ষ্টল গুলোতে বসে মাটি বিক্রির পরিকল্পনা নিয়ে স্বরবে করছে আলোচনা সমালোচনা।
এসবের কারনেই উপজেলা জুড়ে ভূমি আইন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ। সড়কে বেপরোয়া গতিতেই বেশ দাপটের সাথেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটিবাহী ট্রাক ও টোলি গুলো। নিয়োন্ত্রনহীন গাড়ি গুলোতে বিরক্তি প্রকাশেও অতিষ্ট সাধারন ও সচেতন পথচারীরা।সড়কে যে কোন সময় দুর্ঘটনার কারনও হতে পারে এসব গাড়ির কারনে। টোলি থেকে পড়ে যাওয়া মাটি কুয়াশায় ভিজে পিচ্ছিল হচ্ছে সড়ক গুলো। প্রশাসনসহ চোখে তো সবারই পড়ে, আইন প্রয়োগে সহায়তা করবে কে? এমনই হাজারও প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ভূমি আইন।