শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে জাসাসের উদ্যোগে মানববন্ধন সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে এখনই নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ -আব্দুস সালাম পিন্টু গাইবান্ধায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বিশিষ্ট সমাজসেবক নাসির পালোয়ান হত্যা মামলায় আসামি রাব্বি গ্রেফতার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের সচেতন ও সক্রিয় হওয়া অপরিহার্য- ডুয়েট উপাচার্য টঙ্গীতে ট্রাকের ধাক্কায় পুলিশ বক্সের ক্ষতি আহত ২,পুলিশ সদস্য  তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ  সাপাহারে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী ‘ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’ শুরু মোংলায়, গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে উপজেলা বিএনপির শোক র‍্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া রংপুরের ভাস্কর্য ‘অর্জন’ থেকে শেখ মুজিবের ছবি মুছে দিয়েছে জুলাই যোদ্ধারা

গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে কর্মচারীর অবহেলায় প্রান গেলো অবুঝ শিশুর

রিপোর্টারের নাম / ১২৭ টাইম ভিউ
আপডেট : সোমবার, মার্চ ১৩, ২০২৩, ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ

মোঃ নাজমুল হাসান নাজির

 

হায়রে মানবতা, আজ কোথায় তুই,,,গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মাত্র ১৫ টাকার ভর্তি ফি পরিশোধে ব্যার্থ হওয়ায়, জন্মদাতা পিতার সামনে জীবন দিতে হইলো এক অবুঝ শিশুকে।

ঘটনার সুত্রপাতঃ গাইবান্ধা পুরাতন বাদিয়াখালি রোডে বাচ্চাটি রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজির সাথে এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়।

পরবর্তীতে বাচ্চাটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অটো রিক্সায় করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা।

বাচ্চাটিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হইলে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাচ্চার শ্বাসকষ্ট দেখে বাবা হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন অক্সিজেন সরবরাহের জন্য।

গাইবান্ধা সরকারি হাসপাতালের একজন কর্মচারীকে অক্সিজেন দিতে বললে, সেই কর্মচারী ১৫ টাকার ভর্তি ফি দাবি করে। তাছাড়া অক্সিজেন দেয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে বাচ্চার বাবা সেই কর্মচারীকে বলে, আংকেল আমি তো খালি গায়ে আসছি শুধু একটা ট্রাউজার পরে। আমি তো সঙ্গে টাকা নিয়ে আসি নাই। আপনি অক্সিজেন দেন। আমার ভাই টাকা আনতেছে। কিন্তু হাজারো অনুরোধ করার পরেও সেই কর্মচারী কোন মতেই টাকা ছাড়া অক্সিজেন দিতে রাজি হইলো না।বাচ্চার বাবা এবং সেই কর্মচারীর মধ্যে ১৫ টাকার মূল্য পরিশোধে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়, নিষ্পাপ মাসুম বাচ্চাটি অক্সিজেনের অভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মানবতার কতটা অবনতি হইলে এরকম তরতাজা একটি জীবন সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য ছেড়ে দিতে হয়।

আমি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জন মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

এই খুনির বিচার চাই


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর