অনুপ তালুকদার হাওর অঞ্চলের প্রতিনিধি:
ধর্মপাশা এবং মধ্যনগর উপজেলার ছোট-বড় প্রায় সব হাওরেই ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছ। এমন অবস্থায় বোরো ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই কৃষকদের মধ্যে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায় ধর্মপাশা এবং মধ্যনগর উপজেলায় ৩১ হাজার ৮৫০ সেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এই এলাকার সকল কৃষক, বছরে এই ফসলের আশায় থাকে তাই এই মহামারী রোগে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা দিশেহারা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানায় প্রথমে ধানের পাতায় ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির সাদা ও বাদামী বর্ণের দাগ দেখা দেয় এবং পরে পুরো গায়ে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ বেশি হলে ধানের রঙ রোদে পুড়ে যাওয়ার মতো হয় ফলে ধানের ভিতর চাল থাকে না। এ বিষয়ে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের কৃষক ইছব আলী বলেন, গোয়াগাছিয়া ও শইলচাপড়া হাওরে বেশ কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা কিছু বুঝার আগেই এই রোগ দেখা দেয়।তিনি আরো বলেন সরকার এই মহামারী রোগের প্রতিকার ব্যবস্থা না নিলে কৃষক ধান চাষের উৎসাহ হারাবে। এ বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আলী বান্না বলেন, বোরো ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দেওয়ার খবর জানার পরেই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করি এবং কার্যকরী পরামর্শ দেই। মূলত জমিতে ইউরিয়া প্রয়োগ, দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং অসময়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়া এ রোগ হয়ার মূল কারণ। তিনি আরও বলেন, ২৮ জাতের ধানে (ব্লাস্ট) এই রোগের সংক্রমণ বেশি।
প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ সনাক্ত করা গেলে তবে ব্লাস্ট দমন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন বোরো ধানের এই রোগ নিয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্তহ উপজেলায় কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জন সচেতন মূলক সভা ও লিফনেট বিতরণ করেছি, এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ এবং যে কোনো সেবা দেয়ার জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি।।