শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার অডিটরিয়ামে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্ভোদন করা হয়।
(২৬’শে সেপ্টেম্বর ২০২৩) বুধবার,
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট বিতরণ উদ্ভোধনের আয়োজন করা হয়।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক জনাব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলোন, জনাব মোঃ আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার- বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঢাকা, মহা পরিচালক(গ্রেড-১) জনাব এ কে এম হুমায়ুন কবির। প্রকল্প পরিচালক আইডিইএ(২য় পর্যায়), নিবন্ধন অনুবিভাগ, ঢাকা- ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসানাত মোহাম্মদ সায়েম। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা অঞ্চল- জনাব মোঃ ফরিদুল ইসলাম।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার, কাজী শফিকুল আলম (বিপিএম)। জেলা নির্বাচন অফিসার, এ এইচ এম কামরুল হাসান। শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মোঃ তরিকুল ইসলাম। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব এডঃ মোঃ সামছুল আলম প্রধান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, (ইসি) মোঃ আনিছুর রহমান, বলেন। ৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার প্রায় ২লাখ ৭৫ হাজার নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড প্রধান করা হবে।
এছাড়া সমগ্র বাংলাদেশে ৭ কোটি ৭০ লাখ স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছ। জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড বদলে দেবে অনেক কিছু। তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড হবে ১০ ডিজিটের৷ এনআইডি-র মতো ১৩ কিংবা ১৬ ডিজিটের লম্বা লাইন থাকছে না এতে৷ তাছাড়া দেখতে অনেকটা ব্যাংকের এটিএম কার্ডের আদলে হচ্ছে এই কার্ড৷ আর এটি ব্যবহার করেই নাগরিকদের সব রকম সুযোগ-সুবিধা নিতে হবে৷ তিন স্তরের ২৫টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের এই স্মার্ট কার্ড নাগরিকদের পরিচিতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে৷ অর্থাৎ নাগরিকরা নানা ধরনের কাজে এই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন৷ স্মার্ট কার্ড বদলে দেবে অনেক কিছু। তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্স, টিআইএন, পাসপোর্ট, চাকরির আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনাবেচা, বিয়ে রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা ও ব্যাংক ঋণ, শেয়ার-বিও অ্যাকাউন্ট, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন, বিমা স্কিম, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকিটিং, মোবাইল সংযোগ, হেল্থকার্ড, ই-ক্যাশসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ করা যাবে এর মাধ্যমে৷ মোট কথা, নাগরিকদের শনাক্তকরণের প্রশ্নে এই স্মার্ট কার্ডই হবে যথেষ্ঠ। এ সময় তিনি আরো বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নেয়ার বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। কারণ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে ভোটারদের মাঝে আস্থার সংকট দূর হলেই তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ইতোপূর্বে জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড বিদেশ থেকে তৈরি করতে হতো। বর্তমান নির্বচন কমিশন অর্থ সাশ্রয় করতে দেশেই জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট তৈরি করছে।