নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় এরশাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের, বাসন থানা পুলিশ।
এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চার আসামীকে (গত ২২’শে নভেম্বর ২০২৩) বাসনের ইটাহাটা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি ধারলো চাপাতি ও একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার উত্তরঘুনাপাড়া এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন (৩৩), একই জেলার পশ্চিম পাড়া এলাকার মোঃ মোজাফর আলীর ছেলে মোঃ শাহ আলম (২৯), গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকার মোঃ মোস্তফা কামালের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৪), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মোল্লাকান্দি এলাকার মোঃ হোসেনের ছেলে শাকিল (২৪)।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা বাসন থানা এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিলো
হত্যার শিকার এরশাদ, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার সরইপাড়া এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে (৩৪)।
হত্যার শিকার এরশাদ, বাসন থানাধীন নলজানী এলাকায় বসবাস করতো। এরশাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
(২৩’শে নভেম্বর ২০২৩) বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান জানান, নিহত এরশাদের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামী ইমরানের টাকা-পয়সা নিয়ে হাতাহাতি ও বাকবিতন্ডা হয়। এরই জের ধরে (গত ২১’শে অক্টোবর ২০২৩) গ্রেফতারকৃত অপর আসামী শাকিলের মাধ্যমে এরশাদকে বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকালে নিহত এরশাদের হাতের অর্ধেক অংশ বিছিন্ন করে ফেলে। গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও হত্যাকান্ডে আরো অজ্ঞাত নামা ৪-৫ জন থাকার কথাও জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ (উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খাইরুল আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ ও বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক।