রোমান আহমেদঃ শ্রীপুর, গাজীপুর।
সকালে ভারী উষ্ণ জামা, রাতে লেপ, কম্বল আর নকশিকাঁথা ব্যবহার করে অনেকে আরাম-আয়েশে ঘুমাচ্ছে। একটু খেয়াল করলে আমরা দেখব চারপাশে কেউ কেউ আবার রাত দূরে থাক সকালের শীত নিবারণের জন্যেও পাচ্ছে না একটু উষ্ণতা মাখা চাদর! যারা প্রতিনিয়ত শীতে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে সমাজে যারা মধ্যবিত্ত চক্ষুলজ্জার ভয়ে জাঁকানো শীতের কষ্ট নিয়েও হাত পাততে সংকোচ বোধ করে। সমাজের বিত্তশালী মহল আমাদের চারপাশে একটু সাহায্যের হাত বাড়ালেই কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে সাধারণের। এমনটাই করেছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণসংযোগ ও অসহায়, সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শীত বস্ত্র বিতরণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ২০২৩ ইং সকালে
শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামের হাজী মার্কেট সংলগ্ন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হাজী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক “যগ্ন সাধারণ সম্পাদক ” জনাব, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম এর উদ্যোগে,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণসংযোগ কর্মসূচি ও কয়েকশত দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্তঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব, আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ জামিল হাসান দুর্জয়, সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সহ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।
আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব আলহাজ্ব মোঃ আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগ।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ পড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ ডিজিটাল হয়েছে ডিজিটাল থেকেই প্রযুক্তিগত হাতিয়ার নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘুরতে হবে যেখানে প্রযুক্তি হবে তার প্রথম হাতিয়ার । স্মার্ট বাংলাদেশ, যে দেশে থাকবে না কোন খাদ্যের অভাব, থাকবে না বস্ত্রের অভাব ,সাধারণ কেউ কখনই শীতে কষ্ট পাবে না, ভূমিদস্য থাকবে না এমন বাংলাদেশ সাজাতে চেয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে আজকের বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে ‘ ইনশাআল্লাহ’। তিনি আরও বলেন পর্যাপ্ত বস্ত্রের অভাবে অসহায় মানুষ রাতে ঘুমাতে পারছে না। আমরা যারা মোটামুটি চলতে পারছি, তারা এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। উঁচু স্তরের মানুষজন একটু মমতার দৃষ্টি দিলে অনেক মানুষ আরামে ঘুমাতে পারবেন।
রেলস্টেশন আর ফুটপাতে গেলে বোঝা যায় শীতার্ত মানুষ কতটা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। মানবতার সেবা করা আমাদের সবারই উচিত। প্রত্যেক ধর্ম মানবতার সেবা করতে বলেছে। তাই আসুন, শীতার্ত মানুষের অসহায় জীবনের কথা ভেবে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু নিজে ভালো থাকলেই হবে না, আমার পাশের জনকেও ভালো থাকতে হবে।
অনুষ্ঠান আয়োজক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন
ক’দিন ধরে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। জানুয়ারি মাসে শীতের প্রকোপ বেশিই থাকে। দেশে আরও কিছুদিন শীত থাকবে। শীতের ঠান্ডা হাওয়া আমাদের দুয়ারে ভালোই আঘাত করছে।
রাতে কম্বল আর নকশিকাঁথা ব্যবহার করে অনেকে আরাম-আয়েশে ঘুমাচ্ছে। একটু খেয়াল করলে আমরা দেখব চারপাশে অনেক প্রতিবেশী আছে, যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে। আলোচনা শেষে প্রায় ১২শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।
শীতের কাপড় ও কম্বল হাতে চাপিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বৃদ্ধা রাহেলা খাতুনের অনুভুতি জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘টেহা (টাকা) নাই, তাই শীতের কাপড় কিনা হারিনাই এনতন নিয়া যায়।’ একজনের কাছ থেকে শুনে তিনি এখানে এসেছেন বলেও জানান।
এসময় ধনুয়া সহ আশপাশের শত শত অসহায় নারী-পুরুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এসব শীত বস্ত্র গ্রহণ করেন। তারা এই প্রচন্ড কনকনে ঠান্ডায় তাদেরকে এই বস্ত্র প্রদান করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তবে মানুষের উপস্থিতির তুলনায় শীত বস্ত্রের পরিমাণ কম থাকায় অনেককেই খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা যায়। এসময় আমিনুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদেরকে শীত বস্ত্র প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ,মাসুদ পারভেজ জুয়েল, সাবেক সভাপতি, সেচ্ছাসেবকলীগ, গাজীপুর ইউনিয়ন।
উক্ত অনুষ্ঠানে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ প্রায় ১০০০-১৩০০ জন লোক উপস্থিত ছিলেন।