মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি :
য়শোরের অভয়নগরে বর্তমানে তরুণ সমাজের মধ্যে অধিক জনপ্রিয় দুইটি অ্যাপস হলো টিকটক ও লাইকি।তরুণ তরুণীদের কাছে এখন বিনোদনের এক বিরাট প্লাটফর্ম হলো এই দুটি অ্যাপস।অনেকে আবার টাকা ইনকামের মাধ্যম হিসাবে ও ব্যবহার করছে।অতি সম্প্রতি টিকটক আইডি খুললে বা রেপার করলে অ্যাপস থেকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি ও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন হলো এটা থেকে তরুণ সমাজ কি পাচ্ছে?অতি সম্প্রতি আমরা দেখতে পাচ্ছি টিকটক-লাইকির মাধ্যমে তরুণ তরুণী কিশোর গ্যাং,সমাজে অশ্লীলতা,অবৈধ প্রেম,কিশোরী পাচার,উশৃঙ্খলা,যিনা,মাদক ইত্যাদি অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে।এ যেন তরুণ সমাজ ধ্বংসের এক বিরাট ফাঁদ।
উপজেলার সর্বত্র এখন টিকটক লাইকিসহ অনলাইন গেমস ও সকল ক্ষতিকর অ্যাপস নিষিদ্ধ করা জরুরি। যুবসমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপক হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব গেমস যেন যুবসমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করেছে। তাদের মতে, টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপগুলো ব্যবহার করে উপজেলাজুড়ে শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। এদিকে অনেক মনে করছেন তরুণ সমাজ টিকটক লাইকি সহ অনলাইন গেমসের মাধ্যমে অসংখ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে এতে কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি তৈরি করছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় ‘পুল পার্টি’র নামে অনৈতিক বিনোদনে লিপ্ত হচ্ছে।ওই সব কর্মকান্ডের কারণে বাইরে অর্থপাচারের ঘটনাও টিকটক, লাইকি ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে ঘটছে, যেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
তরুণ সমাজকে এই জঘন্য কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচাতে এখন সময়ের দাবি টিকটক-লাইকি সহ সকল ক্ষতিকর অনলাইন অ্যাপস ও গেমস গুলো আমাদের সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা।আশাকরি সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।